Assignment class 6 16th week bgs.


 


অ্যাসাইনমেন্ট-২০২১

৬ষ্ঠ শ্রেণি- ১৬ তম সপ্তাহ

বিষয়ঃ বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

এ্যাসাইনমেন্ট- ৩

শিরোনামঃ ভৌগলিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশ

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

নিম্নে ইউনেস্কো কর্তৃক ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে সুন্দরবনের গুরুত্ব তুলে ধরে একটি পোষ্টার উপস্থাপন বা তৈরি করা হলোঃ

 

সুন্দরবনঃ


বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে অবস্থিত পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ অরণ্য- সুন্দরবন। বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার দক্ষিণবঙ্গোপসাগরের কোল জুড়ে সুন্দরবনের অবস্থান। লবণাক্ত পানিতে বেঁচে থাকতে পারে, এমন উদ্ভিদের জন্যই এ বনকে ম্যানগ্রোভ বন বলা হয়। ধারণা করা হয়, দুই থেকে তিন হাজার বছর আগে এ অঞ্চল ছিল সমুদ্রগর্ভে। গঙ্গা ও গঙ্গার শাখাসমূহ হিমালয়ের শীর্ষ থেকে পলিমাটি বহন করে দক্ষিণে সঞ্চিত হয়ে ভূ-ভাগের সৃষ্টি হয় । কালে কালে তা গভীর জঙ্গল হয়ে ওঠে। সুন্দরী নামে একপ্রকার গাছ এ বনে বেশি থাকায় সুন্দরবন’ নাম হয়েছে- এ কথার প্রচলন থাকলেও নামকরণের সঠিক ইতিহাস আজও জানা যায়নি।

সুন্দরবনের দৈর্ঘ্য ২৯০ কিলোমিটার ও উত্তর-দক্ষিণে প্রস্থ ১২৯ কিলোমিটার । সুন্দরবনের মোট আয়তন ১০,০০০ বর্গ কিলোমিটার। বাংলাদেশ অংশে পড়েছে ৫,৮০০ বর্গ কিলোমিটার, বন এলাকা ৪,০১,৬০০ হেক্টর, নদী ও খাল এলাকা ১,৭৫,৬৮৫ হেক্টর । মোট আয়তনের মধ্যে ৩,৮০,৩৪০ হেক্টর উন্নত বনভূমি ও ২৬,৮০৭ হেক্টর প্রধান বনভূমি । সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এ বনভূমি উচ্চতায় ০.৯১২ মিটার থেকে ২.১১ মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকেসুন্দরবনের নদী, পাখি, মৎস্য, বৃক্ষ এসবই আমাদের সম্পদ। এগুলো একদিকে প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করে এবং অন্যদিকে অর্থনৈতিক উন্নতিতেও সহায়তা করে । জীববৈচিত্র্যের এই আবাস ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ' ঘোষণার পর এর আরও সম্ভাবনা জেগে উঠেছে। সৌন্দর্যের জন্য পর্যটনের একটা উপযুক্ত জায়গা সুন্দরবন। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং সম্পদের এই খনি বাংলাদেশের অমূল্য সম্পদ। সুন্দরবনের প্রধান বনজ বৈচিত্রের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সুন্দরী,গেওয়া, ঝামটি গরান এবং কেওড়া। ১৯০৩ সালে প্রকাশিত হিসেবের মতে সর্বমোট ২৪৫টি শ্রেণী এবং ৩৩৪টি প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে এখানে

 

বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় সুন্দরবনঃ


সুন্দরবন ৬ ডিসেম্বর ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। এর বাংলাদেশ ও ভারতীয় অংশ বস্তুত একই নিরবচ্ছিন্ন ভূমিখণ্ডের সন্নিহিত অংশ হলেও ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় ভিন্ন ভিন্ন নামে সূচিবদ্ধ হয়েছে; যথাক্রমে 'সুন্দরবন' 'সুন্দরবন জাতীয় উদ্যান' নামে। সুন্দরবনকে জালের মত জড়িয়ে রয়েছে সামুদ্রিক স্রোতধারা, কাদা চর এবং ম্যানগ্রোভ বনভূমির লবণাক্ততাসহ ক্ষুদ্রায়তন দ্বীপমালা।

 

 

 

সুন্দরবনের গুরুত্বঃ

 

 

·         পৃথিবীর ফুসফুস বলা হয় আমাজন বনকে। আর বাংলাদেশের ফুসফুস বলা হয় সুন্দরবনকে।

 

·       সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য বছর বছর হাজার হাজার পর্যটককে টেনে আনে এই বাংলার বুকে যার মাধ্যমে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে এবং এভাবেই সুন্দরবন বাংলাদেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করে

 

·       দেশের ২৫ শতাংশ জনগণ যেমন এ উপকূল অঞ্চলে বসবাস করে, তেমনি জাতীয় অর্থনীতিতে জিডিপির কম-বেশি প্রায় ২৫ শতাংশ অবদানও এ অঞ্চলেরই

 

·       সুন্দরবন বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসা বিভিন্ন ঘূর্ণি ঝড়ের গতি কমিয়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এবং জানমাল রক্ষা করে থাকে

·       সুন্দরবনের নদীতে প্রচুর ছোট-বড় দেশি বিদেশি মাছ পাওয়া যায় এই মাস ধরে জেলেরা তাদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করে এবং বিদেশি রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব

 

·       সুন্দরবন প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ জ্বালানি কাঠ সরবরাহ করে থাকে

 

·       সুন্দরবনের উপস্থিত মৌমাছির চাক থেকে অনেকে মধু সংগ্রহ করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করছেন

 

·       জীববৈচিত্র্য রক্ষা করার জন্য সুন্দরবনের গুরুত্ব অপরিসীম সুন্দরবন প্রত্যেকে জীবের জন্য এক বিরাট অভয়ারণ্য

 

·       সুন্দরবন বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদের মধ্যে অন্যতম সুন্দরবন থেকে আহরিত বিভিন্ন সম্পদ আমাদের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করছে

 

 

 

উপরিউক্ত আলোচনা থেকে বোঝা যায় যে আমাদের জাতীয় জীবনে সুন্দরবনের গুরুত্ব অনেক অর্থনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ সুন্দরবন রাখছে গুরুত্বপূর্ণ অবদানতাই আমাদের সকলের উচিত একসাথে সুন্দরবনকে রক্ষা করা

Post a Comment

Previous Post Next Post