Class 8 18th week saririk sikkha o sastho assignment answer

 

 

 

 

 

 

অ্যাসাইনমেন্ট-২০২১

৮ম শ্রেণি- ১ তম সপ্তাহ

বিষয়ঃ শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য

এ্যাসাইনমেন্ট-

শিরোনামঃ স্কাউটিং, গার্ল গাইড ও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।

 

 

 

 

 

 

 

 

নির্ধারিত কাজের উত্তর

 

স্কাউটিং, গার্ল গাইড ও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।

শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বলতে সাধারণত হাত, পা, নাক, কান, চোখ, মাথা, গলা ইত্যাদিকে বোঝায়। শিক্ষার্থীদের এসব অঙ্গপ্রত্যঙ্গের প্রাথমিক চিকিৎসা সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করা অতীব প্রয়োজন। প্রতিটি মানুষের জীবনে চলার পথে অনেক সময় দুর্ঘটনার মুখোমুখি হয়। এই দুর্ঘটনা মোকাবেলার জন্য প্রাথমিক চিকিৎসার ধারণা লাভ করা প্রত্যেকের কর্তব্য। প্রাথমিক চিকিৎসা জানা থাকলে ডাক্তার না আসা পর্যন্ত দুর্ঘটনার ক্ষতির পরিমাণ অনেকটা কমানো যায়।

প্রাথমিক চিকিৎসার ইংরেজি হলো ফার্স্ট এইড (First Aid)First অর্থ প্রথম আর । Aid অর্থ সাহায্য। কোনো আহতব্যক্তিকে সর্বপ্রথম যে সেবা শুশ্রুষা দেওয়া হয়, তাই প্রাথমিক চিকিৎসা। প্রাথমিক চিকিৎসা হচ্ছে বিজ্ঞানসম্মত সেই শিক্ষা, যা আয়ত্তে থাকলে আকস্মিক কোনো দুর্ঘটনায় সাহায্য করতে পারে, যাতে রোগীর জীবন রক্ষা পায়। প্রাথমিক চিকিৎসার স্রষ্টা হলেন ডা. ফ্রেডিক এজমার্ক। তিনি জার্মানির একজন বিশিষ্ট শল্য চিকিৎসক। তিনিই প্রথম চিন্তা করেন, যেকোনো দুর্ঘটনায় আহতরোগীকে। ডাক্তারের নিকট নিয়ে যাওয়ার আগে রোগীর অবস্থার অবনতি যাতে না ঘটে সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা। অতএব প্রাথমিক চিকিৎসা হচ্ছে, হঠাৎ দুর্ঘটনায় আহত রোগীকে ডাক্তার আসার পূর্বে প্রাথমিক সেবা শুশ্রুষা করা। প্রাথমিক চিকিত্সাকারীর কাজ প্রধানত তিনটি

ক)রোগ নির্ণয় করা

খ) চিকিৎসা

গ) স্থানান্তর।

 

ক. রোগ নির্ণয়:

কী কারণে অসুস্থতার সৃষ্টি হয়েছে তা খুঁজে বের করা।

খ. চিকিৎসা:

ডাক্তার আসার আগে রোগীর অবস্থার অবনতি যাতে না ঘটে সেজন্য প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া।

গ. স্থানান্তর:

দুর্ঘটনার গুরুত্ব অনুযায়ী রোগীকে নিরাপদ জায়গায় বা ডাক্তারের নিকট বা হাসপাতালে যত ভাড়াতাড়ি সম্ভব স্থানান্তর করা।

হঠাৎ আঘাত পেলে শরীরের ওই নির্দিষ্ট জায়গায় অতিরিক্ত চাপে ফুলে যায়। এ ধরনের আঘাতে যে সমস্যা হয় তাকে সাধারণত সফট টিস্যু ইনজুরি বলে। আঘাত হাতে - পায়ের , কোমরের বা শরীরের অন্য জায়গার মাংসপেশি, হাড়, হাড়ের জোড়, নার্ভ বা লিগামেন্টের অবস্থানগত পরিবর্তনের জন্য ব্যথা হয়। আবার কেউ মাথায় আঘাত পেতে পারে, ফলে বাহ্যিক - অভ্যন্তরীণ দুই ধরনেরই ক্ষতি হতে পারে। একেক জায়গার আঘাতে চিকিৎসার ধরন পরিবর্তিত হয়ে থাকে। সব আঘাতই গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। কিন্তু মাথায় আঘাত সব সময় বেশি গুরুত্ব বহন করে।

হঠাৎ হাতে - পায়ে আঘাত পেলে আঘাতপ্রাপ্ত জায়গা ফুলে যায়। প্রচণ্ড ব্যথা হয় ওই অংশটি লাল হয়ে যায় এবং গরম থাকে। এটা হয় কোনো দুর্ঘটনায় আঘাত পেলে , খেলাধুলার সময় আঘাত পেলে , মাংসপেশিতে হঠাৎ টান লাগলে কিংবা পা পিছলে পড়ে গেলে। আরএসব কারণে সফট টিস্যু ইনজুরি হয়। আঘাতের তীব্রতা বেশি হলে হাড় ভেঙে যেতে পারে। হাড় ভেঙে গেছে সন্দেহ হলে অবশ্যই এক্স-রে করাতে হবে এবং প্রয়োজন হলে চিকিৎসা নিতে হবে ।।

আমার একজন সহপাঠী হাতে ব্যথা পেল। কিছুক্ষণ পর দেখা গেল তার হাত ফুলে গেছে। । এমন অবস্থায়। আমি যা যা পদক্ষেপ নিব তার নিচে লেখা হলোঃ

·   আক্রান্ত জায়গায় বরফ ব্যবহার করতে হবে ১৫-২০ মিনিট ধরে।

·   ভিজা গামছার ভেতর বরফ নিয়ে আক্রান্ত অংশে মুড়িয়ে দিতে হবে

·   যদি বেশি ঠান্ডা লাগে ,৩ মিনিট পর উঠিয়ে ফেলা যাবে

·   শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে আবার ১২-১৪ মিনিট ধরে পেঁচিয়ে রাখতে হবে

·   আক্রান্ত অংশ ফুলে গেলে ক্রেব ব্যান্ডেজ দিয়ে পেঁচিয়ে রাখতে হবে, যাতে আরফুলতে না পারে।

·   আক্রান্ত অংশ বালিশ বা অন্য কিছু দিয়ে উঁচু করে রাখতে হবে, যাতে হৃৎপিণ্ড বরাবর থাকে।

·   এই অবস্থায় হালকা ব্যায়াম, হালকা মালিশ, আলট্রাসাউন্ড থেরাপি ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে।

·   রোগীকে ৬-৭ দিন পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হয়।

·   লক্ষ রাখতে হবে রোগী আবার যেন আঘাত না পায়।

 

Post a Comment

Previous Post Next Post